“জিনসিয়াম সাইতার”
রুমানাপাড়ার এক দুরন্ত কিশোরীর নাম জিনসিয়াম।
দৈনন্দিন খাবারের জন্য তরকারি সংগ্রহ করতে গিয়ে এক জলপ্রপাতের ধার ঘেঁষে যাচ্ছিলো।
হঠাৎ ই তার পা পিছলে যায়,পড়ে যায় সে এই ঝর্নার উপর থেকে। পাথরের উপর আছড়ে পড়ে তার নিথর দেহ,ছেড়ে চলে যায় দুরন্ত প্রান এই ভু-স্বর্গের মায়া ছেড়ে।
বাবা, মা, চাচা সহ অন্যান্য পাড়াবাসী খুঁজে বেড়ায় পাড়ার আশপাশ জুমখেতের এদিক-অদিক সব দিক। কিন্তু পরদিন ঝর্নার পাশে পড়ে থাকে জিনসিয়াম বমের নিষ্প্রান
শরীর, জলপ্রপাতের ধারা মিলিয়ে যায় তার দেহের সব লহু।
সেই থেকে পাড়া বাসী এই ঝর্নাকে জিনসিয়াম সাইতার বলে ডাকেন।
ঝর্ণার ধাপ তিনটি , যাওয়া যায় লুংথাউসিহ পাড়া দিয়েও। রুমানা পাড়া থেকে গেলে আপনাকে কুণ্ড এবং দ্বিতীয় ও প্রথম ধাপ দেখে পাড়ায় ফিরতে হয়। আর লুংথাউসিহ পাড়া থেকে গেলে সব ধাপ দেখে রুমানা পাড়ায় আবার ফিরে যাওয়া যায়।
রুমানা পাড়া মূলত বম আদিবাসীদের পাড়া। আগে এর নাম ছিল সানকুপ পাড়া, ‘সানকুপ’ নামক একজন কারবারির নামে। রুমা খালের শেষে এই পাড়াটার অবস্থান বলে এর নাম রুমানা পাড়া হয়েছে পরে । বম আদিগোষ্ঠী পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন বলে অন্যান্য বম পাড়ার মতোই রুমানা পাড়াও যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। পাড়া-প্রধানকে বলা হয় ‘কারবারি’। পাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও আছে একটা গির্জা।
রুটঃ বান্দরবন থেকে রুমা বাজার – বগালেক – কেওক্রাডং – পাসিংপাড়া – সুংসং পাড়া – রুমানা পাড়া – জিংসিয়াম সাইতার
কিভাবে যাবেন :
ফকিরাপুল থেকে এস আলম, সৌদিয়াসহ আরো অনেক পরিবহনের বাসে বান্দরবান যাওয়া যায়। ভাড়া ৬২০ টাকা। বান্দরবান থেকে রুমা পর্যন্ত জিপে জনপ্রতি ১৫০ টাকা। রুমা থেকে বগা লেক পর্যন্ত রিজার্ভ চান্দের গাড়ি ভাড়া প্রায় আড়াই হাজার টাকা। এরপর বাকিটা হাঁটাপথ। রুমানা পাড়া পৌঁছতে ছয়-সাত ঘণ্টা লাগতে পারে।