• সব পোস্ট
Home Blog Page 12

পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা: দিন ২ ঠাকুরগাঁও – দশমাইল, দিনাজপুর

প্লাস্টিক বিরোধী প্রচারণার জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসক ডা: বাবর আলী পায়ে হেঁটে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করছেন। ক্লান্তিবিহীন ছুটেছেন দেশপ্রেমিক এই চিকিৎসক। আমরা তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
সাথে থাকুন ব তে ব-দ্বীপের ।

আজ প্রকাশিত হচ্ছে ২য় পর্ব

ঠাকুরগাঁও – দশমাইল, দিনাজপুর (৪৬.৫০ কি. মি.)

সেই ছয়সকালে (সকাল ছয়টা বাজে আর কি!) ঘুম ভাঙল রান্নাঘরে রুবাইয়া আপুর মায়ের টুংটাংয়ে। সকালে না খেয়ে বের হওয়া আর কপালে রইল না। ব্যালকনিতে তাকিয়ে নির্মেঘ আকাশ দেখে মনটা খুশি হয়ে গেল।

আকাশে মেঘের ভেলা
আকাশে মেঘের ভেলা

বিশাল এক প্লেট নুডলস খেয়ে আর লিকার চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বেরুতে বেরুতে পৌনে সাতটা। আংকেল কিছুটা রাস্তা এগিয়ে দিতে এলেন। বাসস্ট্যান্ড পেরিয়ে স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে জগ্ননাথপুর আসতে বেশি সময় লাগল না। অল্প এগুতেই চোখে পড়ল দারুণ সুসজ্জিত আরডিআরএস নামক এক এনজিওর অফিস। এই অঞ্চলে এই এনজিওটা বেশ জনপ্রিয় বলেই মনে হল। পাশেই একটা উঁচু জায়গা দেখে দীঘি মনে হতেই একটু উপরে উঠেই আশাহত হতে হল। ওরকম কিছু চোখে পড়ল না।

গাছের সারি
গাছের সারি

এইবার রাস্তার দু’পাশে সঙ্গ দিল বিশাল সব সেগুন গাছ। সেদিকে তাকাতে তাকাতেই কানে এল – ‘ভাবী সালাম’। তাকিয়ে দেখি ক্লাস ফোর-ফাইভ পড়ুয়া এক ছেলে তারই সমবয়সী স্কুল ড্রেস পরিহিত এক মেয়েকে এই নামে সম্বোধন করছে! কৌতূহল নিয়ে ক্যামেরার ছুতোয় একটু দাঁডিয়ে কথা-বার্তা শুনে বুঝলাম বন্ধুর প্রেমিকাকেই ভাবী বলে সম্বোধন করছে। ছোট খোচাবাড়ী,বড় খোচাবাড়ী পেরোতেই চোখে পড়ছিল সাইকেলে স্কুলগামী পিচ্চি-পাচ্চাদের। এদিকের লোকাল বাসগুলোর ছাদে লাল-সাদা-সবুজ পতাকা চোখে পড়ছিল। একজনকে জিজ্ঞেস করতেই জানাল লোকালরা বাসের ছাদে পতাকা দেখে কোন রুটের বাস সেটা চেনে।

বড় খোচাবাড়ী থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত পুরোটাই শিশু গাছের ছাওয়া। রোদ্দুর উঠে গেলেও হাঁটতে তাই খুব একটা বেগ পেতে হচ্ছিল না। পাশেই বয়ে চলছিল ক্ষীণ ধারার এক খাল। এদিকে সব বাড়ির সামনেই পাকা চাতাল। কুঁড়েঘর হোক কিংবা পাকা বাড়ী,বাড়ীর সামনে ধান শুকানোর সুবিধার্থে পাকা চাতাল আছেই। আর চোখে পড়ছিল বিশাল সব ফুলকপির ক্ষেতে। আমার প্রিয় সবজিটিকে দু’চোখে প্রাণ ভরে দেখে নিচ্ছিলাম।

ফুলকপির ক্ষেত
ফুলকপির ক্ষেত

ঠাকুরগাঁও জেলার সীমানা পেরুতেই এদিকের বেশির ভাগ বাজারের নাম বদলে গেছে মাইলে। কোনোটা ২৯ মাইল বাজার,কোনোটা ২৬ মাইল বাজার। ২৮ মাইল বাজারের পরে একটা সেতু পার হবার সময় চোখ আটকে গেল সেতুর তলায়। মানুষ,গরু-ছাগল,হাঁস সবাই হাঁটু সমান পানিতে গোসল করছে। বটতলা বাজার থেকে একটু এগোলেই সিংড়া জাতীয় উদ্যান যাবার রাস্তা। আমি অবশ্য তেমন একটা আগ্রহ দেখালাম না। দেশের জাতীয় উদ্যানগুলোর অবস্থা তথৈবচ।

উদ্যান এর রাস্তা
উদ্যান এর রাস্তা

এক গাদা বাচ্চাকে স্কুলের শিক্ষক রাস্তা পার করে দিচ্ছেন,এই দৃশ্য চোখে পড়ল ভোগনগরের কাছে। পথিমধ্যে এক লোক থামিয়ে জিজ্ঞেস করল- ‘আপনি কি কোন কোম্পানী থেকে আসছেন ভাই?’ তেমন কোন কোম্পানীর খোঁজ এই দেশে এই সব বনের মোষ তাড়ানো কাজে কেউ পেলেই তো! চাকাইয়ের টালিথা কুমী চার্চ থেকে এগিয়েই বীরগঞ্জ বাজার।

টালিথা কুমি চার্চ
টালিথা কুমী চার্চ

উপজেলা সদর হলেও জেলা সদরের মতই ব্যস্ততা চারপাশে। রুবাইয়া আপুর বাবা আগেই বলে রেখেছিলেন বীরগঞ্জে সাধনা সুইটসের মিষ্টি যেন মিস না করি।

স্পন্জ মিষ্টি
স্পন্জ মিষ্টি

স্পঞ্জ মিষ্টিটা খেতে ভালোই ছিল। এগিয়ে বীরগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের গা ঘেঁষে চলে। সামাজিক বন বিভাগের অধীনে এই উদ্যানটি। রাস্তা থেকে বেশ ক’টা পায়ে হাঁটার ট্রেইল ঢুকেছে ভেতরের দিকে। আজ সকালে ৪-৫ কি.মি. যাবার পর থেকে বাঁ পায়ে কেমন জানি ভোঁতা একটা যন্ত্রণা হচ্ছিল। সেটা গতি কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। জাতীয় উদ্যান পার হতেই প্রবেশ করলাম কাহারোল উপজেলায়।

এর মধ্যেই ফোনে কিছুক্ষণ পরপরই আমার খোঁজ নিচ্ছিলেন দিনাজপুরের মুইজ মাসুম ভাই। উনার বাসাতেই থাকার ব্যবস্থা আজ। রামপুর থেকে হাতের ডানের রাস্তা দিয়ে এবার মুকুন্দপুর। উদ্দেশ্য কান্তজীউ মন্দির যাওয়া।

কান্তজীর মন্দির
কান্তজীর মন্দির

আগেও বার দুয়েক এসেছি। পথে যখন পড়েছেই,আরেকবার ঢুঁ মেরে এলাম। এখানে এসেই এক বিপত্তি। এক ছেলে এসে জিজ্ঞেস করল – ‘আপনাকে বীরগঞ্জে হাঁটতে দেখেছি। কি করেন আপনি?’ এবার পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত শুনে আমাকে আজকের গন্তব্যের কথা শুধাতেই আমি উত্তর দিলাম – দশমাইল। কিভাবে যাব প্রশ্নের জবাবে হেঁটে যাব জানালাম। আমার দিকে তাকিয়ে বলল -‘আপনার মনে হয় টাকা-পয়সার সমস্যা।আমি দিব টাকা? ‘ আমার ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলার পরেও ওই ছেলে থামে না। তার বাইকের পেছনে করে দশমাইল এগিয়ে দিতে চায়। অনেক কষ্টে তাকে নিরস্ত্র করে কান্তনগর মোড়ে পৌঁছাতেই চোখে পড়ল একটা ভাষ্কর্য। তেভাগা আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে এর নতুন নামকরণ হয়েছে তেভাগা চত্বর।

বার মাইল থেকে বাকি পথটুকু গাড়ীর হেডলাইটের আলোতে হেঁটে দশ মাইল পৌঁছাতেই দেখি মুইজ মাসুম ভাই তার বন্ধু-বান্ধবসমেত ফুল নিয়ে হাজির। আজকের হাঁটা এখানেই শেষ। এন্ডোমন্ডো বকছে হেঁটেছি প্রায় সাড়ে ৪৬ কি. মি.।

২য় দিন
২য় দিন

এখান থেকে মুইজ ভাইয়ের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়ীতে গেলাম টমটমে। একে একে পরিচিত হলাম মামুন ভাই,মানিক ভাই আর শিপন ভাইয়ের সাথে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প, দেশপ্রেম, রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে দারুণ আড্ডা হল। চঞ্চল ভাই আর রুকু ভাই আসতেই মৌ ভাবীর রান্না করা সুস্বাদু খাবারটা দিয়ে সারা হল রাতের খাবার।

চলবে…

কৃতজ্ঞতা: বাবর আলী

পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা: দিন ১ পঞ্চগড় – ঠাকুরগাঁও

করতোয়া নদী
করতোয়া নদী

প্লাস্টিক বিরোধী প্রচারণার জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসক ডা: বাবর আলী পায়ে হেঁটে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করছেন। বাংলাদেশের পথে পথে পায়ে হেঁটে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছে অক্টোবর ২৫, ২০১৯ তারিখ। ক্লান্তিবিহীন ছুটেছেন দেশপ্রেমিক এই চিকিৎসক। আমরা তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সাথে থাকুন ব তে ব-দ্বীপের।

আজ প্রকাশিত হচ্ছে ১ম পর্ব

কুয়াশা ফিকে হয়ে আসার আগেই সকালবেলা রকি ভাইয়ের নানীশাশুড়ি আর শাশুড়ির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পথে নামলাম। রাতেই বলে রেখেছিলাম আমি খুব ভোরে বেরুব,তাই সকালের নাশতার আয়োজনের কষ্টটা যেন করা না হয়। আশির আশেপাশের বয়সের নানী সেসব শুনলে তো! এন্ডোমন্ডো এপটা চালু করে গুটি গুটি পায়ে হাঁটা শুরু করলাম চৌরঙ্গী মোড়ের উদ্দেশ্যে। ‘পঞ্চগড় ০ কি.মি. লেখা মাইলফলকটা ওখানেই।

আগের রাতেই ওদিকটা হেঁটে এসেছি। ডিস্টিলারী মোড় থেকে এগিয়ে ধাক্কামারার চত্বরে পৌঁছাতেই মনটা ভালো হয়ে গেল। ধাক্কামারার মোড়ের ট্রাফিক বক্সটাকে মনে হচ্ছিল যেন একটা দ্বীপ। সবুজ ঘাসের মাঝে যেন মাথা উঁচু করে রেখেছে। করতোয়া নদীর উপর নির্মিত সেতু পেরিয়ে চৌরঙ্গীতে গিয়ে এমন কাউকে খুঁজছিলাম যিনি আমাকে একটা ছবি তুলে দিতে পারেন।একজন ভ্যানওয়ালা দয়াপরবশ হয়ে একটা ছবি তুলে দিতেই পা চালালাম।

পথের দুপাশে গাছের সারি
পথের দুপাশে গাছের সারি

মহাসড়ক এন-৫ ধরেই যাত্রা। গন্তব্য ঠাকুরগাঁও। আজ পাড়ি দিতে হবে ৪০ কি.মি. পথ। সকালের আরামদায়ক আবহাওয়ায় যদ্দুর পারি এরিয়ে থাকব,এই পরিকল্পনা মাথায় নিয়েই যাত্রা। দু’পাশে ইউক্যালিপটাস গাছের সারি।

চোখ বুলাতে বুলাতে যাচ্ছি এমন সময় ডাক এল ‘এক্সকিউজ মি’ বলে। ফিরে তাকাতেই রাস্তার অপর পাশ থেকে এগিয়ে আসতে দেখা গেল এক তরুণকে। আমার সাথে কথা বলে এক কাপ চায়ের আমন্ত্রণ দিলেন। বাজারটা একটু পেছনের দিক ভলে আমি ইতস্তত করলেও ভদ্রলোকের আন্তরিকতায় সাড়া না দিয়ে পারা গেল না।

মিলগেট পেরুতেই বিশাল সব চোখে পড়ছিল।এর চেয়েও নজরকাড়া ব্যাপার হল অতিকায় গাছগুলো ঘিরে প্রচুর পরিমাণে ফার্ণের উপস্থিতি। খানিকটা এগিয়েই পঞ্চগড় সুগার মিলের বিশাল টিনের নির্মিত কারখানা দৃষ্টিসীমায় এল। এই মিলগুলোর একটা মজার ব্যাপার হল,এগুলো সারাবছর খোলা থাকে না। আখ কাটার পর একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালু থাকে এ কারখানাগুলো। রাস্তার এক পাশে মূল কারখানা আর অপর পাশে কোয়ার্টার,রেস্ট হাউজ,মসজিদ ইত্যাদি। সুগার মিল চোখে পড়লেও সুগার মিলের মূল কাঁচামাল তথা ইক্ষু খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

এবার রাস্তার দু’পাশে সঙ্গ দিচ্ছে রেইনট্রি,মেহগনি আর শিশু গাছ। জুট মিল বাজার পেরিয়ে ময়দানদীঘির কাছটায় আসতেই জাঁকিয়ে বৃষ্টি এল। আশেপাশে দোকান-পাট না থাকাতে এই যুবক বয়সে শিশু তথা শিশু গাছই ভরসা। বৃষ্টি একটু কমতেই ময়দানদীঘির পাড়ে উঠে চারপাশে চক্কর লাগালাম।

কিছুদূর এগিয়ে চোখে পড়ল হিমালয় ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি। আমার পর্বতপ্রেমী চোখ খুঁজে পাচ্ছে এমন সব নামই। সকালেই এক জায়গায় মাউন্ট এভারেস্ট কলেজের ব্যানার পড়েছিল চোখে। এবারে টানা হেঁটে বোদা এসে ফটোগ্রাফার ফিরোজ সাবাহ ভাইকে ফোন দিতেই আরেক দফা চা-মিষ্টি হয়ে গেল।

পথে নামতেই এবার তেড়ে বৃষ্টি। অল্প হাঁটতেই পঞ্চগড় জেলার সীমানা শেষ হয়ে গেল।

বিদায় পঞ্চগড়
বিদায় পঞ্চগড়

প্রবেশ করলাম ঠাকুরগাঁও জেলায়। কিছু জায়গায় শিশু গাছগুলো বড় হয়ে মাথার উপর চাঁদোয়া তৈরি করেছে।

অপর পাশ থেকে সাইকেলে আসা এক বালক আমাকে দেখে একটু সুরে সুরে ‘পাগল….. ‘ বলাতে একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেতেই বালক তার লাইনটি শেষ করল ‘পাগল…. মন মনরে’ বলে! মুচকি হাসি বিনিময় করে বালক সাইকেলে দূরে মিলিয়ে গেল।

পথে দু’জায়গার চা বিরতি লোকজনের কৌতূহল নিবৃত্ত করতেই কেটে গেল। পথে হাসপাতাল পেলাম দু-তিনটা। এনজিও পরিচালিত এসব হাসপাতাল খুব পরিপাটি।

মুন্সিরহাট পেরিয়ে ভুল্লি বাজার নামে এক বড়সড় বাজারের দেখা পেলাম। ভুল্লি নদীর উপর নির্মিত সেতুর দুপাশেই বাজার। বৃষ্টিতে জুতা ভিজে যাওয়ায় খানিকটা বেকায়দায় পড়লেও টান হেঁটে সালন্দার কাছে গিয়ে পড়কাম বিশাল এক জমায়েতের মুখে। সম্ভবত কোন সম্ভ্রান্ত মানুষের জানাজা। একটু পরেই ফোন দিলেন রুবাইয়া আপুর মা। আজকে উনাদের বাসাতেই থাকার ব্যবস্থা। উনি কিভাবে আসতে হবে জানিয়ে দিলেন। পা চালিয়ে গন্তব্যের কাছে আসতেই আন্টিকে ফোন দিয়ে জানলাম পথের দিশা। আংকেল আমাকে এগিয়ে নিতে এসেছিলেন। উনার পিছু পিছু শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়ায় তাদের সাজানো-গোছানো বাড়ীটাতে ঢুকছি তখন বিকেল চারটে প্রায়। ফ্রেশ হয়ে নাশতা খেয়ে শহর দেখতে বেরুলাম আংকেলের সাথে। আংকেল বারবার জিজ্ঞেস করছিল- ‘তোমাকে সাথে নিয়ে গেলে হেঁটে যেতে হবে? নাকি গাড়ী নিতে পারব?’ আমি হেসে জবাব দিলাম -‘এখন তো গন্তব্যে পৌঁছে গেছি।গাড়ী নিতে আপত্তি নেই।’ শহরের এদিক সেদিক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আংকেল ডিসি অফিস, বড় মাঠ, জেলা স্কুল, মির্জা ফখরুলের বাড়ী দেখালেন। এর মধ্যেই ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মরত মেজর ডা. সুমন খীসা দাদাকে ফোন করলাম। উনি বর্তমানে ডেপুটশনে বিজিবি হাসপাতালে কর্মরত। দেখা হতেই পুরো হাসপাতাল ঘুরিয়ে দেখালেন আর করলেন আপ্যায়নের চুড়ান্ত। আরো বেশ কিছুক্ষণ গল্প-গুজব করে সুমন’দা তার গাড়ীতে আমার আজকের বাসস্থানের সামনে নামিয়ে দিয়ে গেলেন।

#SayNoToSingleUsePlastic

কৃতজ্ঞতায়: বাবর আলী

 

গভীর সমুদ্রে

এটা ইউরোপ/আমেরিকার কোন সমুদ্রের পানির ছবি নয়। আমাদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৮/৯ নটিক্যাল মাইল ভিতরের সমুদ্রের পানি ঠিক এরকমই সুন্দর। কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রাম আসার পথেই ছবিটি নিয়েছি। ছবিতে পানির মধ্যে বিভক্তকারী একটা রেখা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

দুই সাগরের মাঝখানে একটি অদৃশ্য দেয়াল বা আড়াল ইউরোপ এবং উত্তর আমারিকার কিছু সমুদ্রে দেখা যায়। সাধারনত উষ্ণ এবং শিতল পানির মিলনস্থলে এই ধরনের সুস্পষ্ট বিভক্তকারী রেখা তৈরি হয়। এছাড়াও যে তিনটি মৌল নিয়ম অনুসরনের ফলে পানির মধ্যে এমন রেখা দেখা যায় তা হল-
১) ঘনত্ব
২) লবণাক্ততা
৩) উচ্চতা

অর্থাৎ কম ঘনত্বের পানি বেশি ঘনত্বের পানির সাথে,লবণাক্ত পানি মিঠা পানির সাথে,কম গভীরতার পানি বেশি গভীরতার পানির সাথে মিশতে চায় না। এমনটি সাধারণত সমুদ্রের পানির নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে চাওয়ার ধর্মের কারনেই হয়ে থাকে। অর্থাৎ পানি তার স্ব গুনাগুন বজায় রাখতে চায়। যে কারনে এক ধর্মের পানি অন্য ধর্মের পানির সাথে মিশতে চায় না। একই সমুদ্রের পানিতে বিভক্তকারী রেখার সৃষ্টি হয় মূলত এ কারনেই।

লেখা ও ছবি : Wahid Zaman

শালবনের সেতু-বন্ধন

শালবনের সেতু-বন্ধন !

কোথাও কেও নেই, যতদুর চোখ যায় শুধু লম্বা শাল এর সারি , নানান পাখির কিচির মিচির ডাক। ঘন বনে আলো ছায়ার খেলা, হাটতে হাটতে হঠাৎ দেখা যায় কেও সাইকেল নিয়ে যাচ্ছে বনের সরু পথ ধরে, কেও বা শুকনো ডাল পালা কুড়িয়ে বাড়ি ফিরছে অনেক বার হেটেছি শাল এর সরু পথ ধরে । খুজে ফিরেছি শুমচা সহ নানান পাখি । মাঝেমধ্যে দু একটা শেয়াল এর সাথেও দেখা হয়েছে বনের রাস্তায় । কেও দাড়িয়েছে কেও পালিয়েছে । কাঠবিড়ালী আছে বেশ । এ গাছ ও গাছ লম্ফ-ঝম্ফ করতেই তাদের সময় যায় ।

এটি দিনাজপুরে অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান । ২০১০ সালে এটি জাতীয় উদ্যান তকমা পায় । ১২৭৮.৪৯ একর জমি নিয়ে গঠিত এই শালবনটি । শালবনের পাশেই একে বেকে আশুরার বিল । এই শালবনে শাল ছাড়াও গামার, কড়ই, সেগুন,জাম , বেত, বাঁশ, সহ আরো অনেক প্রজাতির গাছ রয়েছে । রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রানী ।

এ শালবনের সৌন্দর্য্য দ্বিগুণ হয়েছে বনের পাশের আশুরার বিলের জন্য । বন ও বিলের এক অপরূপ সমন্বয় ঘটেছে এ জাতীয় উদ্যান এ । জল টলোমল বিলের পাশে সারি সারি শালের ছায়া , ফুটে আছে লাল শাপলা ,সাদা শাপলা ।পদ্ম ও বাদ যায়নি । জলময়ুর উড়ে বেড়াচ্ছে মনের আনন্দে । সাদা শুভ্র বকেরা মাছেদের সাথে বোঝাপড়ায় ব্যস্ত । এদিক সেদিক ভেসে যাচ্ছে নৌকা । কেও মাছ ধরছে কেও বা করছে পারাপার ।

সবকিছু ঠিক এমন সুন্দর ছিলনা , মানুষের লোভের আগ্রাসনে হারিয়ে যেতে বসেছিল বিলের সৌন্দর্য্য । হারিয়ে যাচ্ছিল লাল শাপলা সহ অনেক প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী । শীত মৌসুমে পানির অভাবে শুকিয়ে যেত বিল । কেও দেখেন নি এই অপরূপ বিলের দুর্দশা বা দেখেও দেখেন নি । দেখেছিলেন নবাবগঞ্জে সদ্য যোগদান করা ইউএনও মশিউর রহমান । দুবছরে পালটে দিয়েছেন বিল । নিজে নেমে পরিস্কার করেছেন বিল , দূর দুরান্ত থেকে এনেছেন লাল শাপলা। লড়েছেন দখলদার সাথে ।
বিলের মধ্যে তৈরী করেছেন দৃষ্টিনন্দন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কাঠের সেতু । তৈরী করেছেন ক্রস ড্যাম । এখন আর শুষ্ক মৌসুমে পানী শুকোয় না বিলের । পর্যটনের এক নতুন সম্ভাবনা খুলে গিয়েছে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান ও আশুরার বিলে ।

লেখা: Md. Majadul Islam

বিহঙ্গ দ্বীপ, পক্ষীর চর ভ্রমণ

যাত্রা বিহঙ্গ চর
যাত্রা বিহঙ্গ চর

বিহঙ্গ দ্বীপ বা মাঝের চর বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষা এক ছোট্ট অসাধারণ দ্বীপ। স্হান : বরগুণা জেলা, পাথরঘাটা থানা । আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চারাস এবং প্রকৃতি প্রেমী হন , তাহলে – ঘুরে আসুন বিহঙ্গ দ্বীপে ।

এ বছরের জানুয়ারীতে আমরা গিয়েছিলাম বিহঙ্গ দ্বীপ বা মাঝের চরে । শীত তখন জেঁকে বসেছে । সুন্দরবনের একদম পাশে এই বিহঙ্গ দ্বীপ , পক্ষীর চর। প্রকৃতি যেনো তার অপার সৌন্দর্য্য নিয়ে আপনার জন্যই অপেক্ষা করছে । উপকূলীয় সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি – আপনি বরগুণার সুন্দরবন অংশও ঘুরে আসতে পারবেন ।

পক্ষীর চর

ঢাকা থেকে ৫.৩০ এবং ৬.০০ তে বরগুনা জেলার উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছাড়ে । শাহরুখ -২ , পূবালী ১ , যুবরাজ ২- ৪ , সপ্তবর্ণা ৯ ! ডেকের ভাড়া ৩৫০ টাকা , সিঙ্গেল কেবিন ১২০০ টাকা , ডাবল কেবিন ২৪০০ টাকা , ফ্যামিলি কেবিন ২৫০০ টাকা । সকালে আপনি পৌঁছে যাবেন কাকচিড়া ঘাটে । সেখান থেকে অটোতে নেমে পাথর ঘাটা বাজার , তারপর বাইকে চড়ে রুহিতা গ্রাম ।

রুহিতা গ্রাম বলেশ্বর নদীর মোহনায় অবস্হিত । অসাধারণ সুন্দর এক গ্রাম , এখানে আপনি দেখতে পাবেন জেলেজীবন , খেলতে পারবেন রুহিতা গ্রামের শিশুদের সাথে ।

রুহিতা গ্রামের শিশু
আনন্দিত শিশুরা
আনন্দিত শিশুরা
জেলে জীবন
জেলে জীবন

মেঠো পথে চাইলেই হারিয়ে যেতে পারবেন একদম নিজের মতো করে । কৃত্রিমতা নেই , একদম উপকূলীয় মাটির ঘ্রাণ ।

বলেশ্বর এর তীরে ম্যানগ্রোভ বন
বলেশ্বর এর তীরে ম্যানগ্রোভ বন

বলেশ্বর নদীর তীর ঘেঁষেই দেখতে পাবেন ম্যানগ্রোভ বন । চাইলে এখানেও বেজক্যাম্প করতে পারেন।

বেজ ক্যাম্প
বেজ ক্যাম্প

রুহিতা গ্রামের পাশেই বয়ে চলেছে বলেশ্বর নদী । নৌকা বা বোটে করে – বিহঙ্গ দ্বীপ যেতে হবে । নাম শুনলেই বোঝা যায় নানা প্রজাতির পাখির জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপ ।

বিভিন্ন প্রজাতির সারস
বিভিন্ন প্রজাতির সারস

স্হানীয় কোস্ট গার্ডের অনুমতি নিতে হবে এই দ্বীপে বেজক্যাম্প করতে চাইলে , একটু জলদস্যু প্রবণ এলাকা – দলবদ্ধ ভাবে যাওয়াটাই শ্রেয় ।

বিহঙ্গ দ্বীপ থেকে আপনি বোটে চড়ে যেতে পারেন একেবারে সুন্দরবনের অংশ পক্ষীর চরে । শীতকালে দেখা মিলবে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির ।

জেলে জীবন
জেলে জীবন

জেলে জীবন , উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বন , বরগুনার সুন্দরবন অংশ (গোল পাতার বন, দেখা পাবেন হরিণ ও বানরের) –

দেখা মিলবে বানরের
দেখা মিলবে বানরের
হরিণ
হরিণ

বিষখালী এবং বলেশ্বর নদীর মোহনা আপনাকে যারপরনাই বিমোহিত করবে ।

গোল পাতার বন
গোল পাতা
সুন্দরবন বরগুনা অংশ
সুন্দরবন বরগুনা অংশ
বলেশ্বর নদীর মোহনা
বলেশ্বর নদীর মোহনা

ফেরার লঞ্চ ছাড়ে কাকচিড়া ঘাট থেকে বিকাল ৪ টা ও ৪.৩০ মিনিটে ।

ঘুরে আসুন – বিহঙ্গ দ্বীপ , পক্ষীর চর থেকে । উপভোগ করুন বাংলাদেশের সৌন্দর্য্য ।

[দ্রষ্টব্য: পরিবেশ কে পরিচ্ছন্ন রাখুন]

– Asif Soikot

কাঠঠোকরা

সবুজ ডোরা কাঠ ঠোকরা

কাঠঠোকরা গাছের গুঁড়ি ও ডালে উঠে কাঠের পোকামাকড় ও গর্তবাসী শুঁয়াপোকা খুঁড়ে খুঁড়ে বেশির ভাগ সময় কাটায়। ছিদ্রকারী কীট ধরার মতো এদের আছে মোটা কাস্তের মতো ঠোঁট, নাসারন্ধ্রের উপর একগুচ্ছ পালক যা নাকে কাঠের গুঁড়া ঢুকতে দেয় না এবং গর্ত থেকে শুঁয়াপোকা টেনে তোলার মতো আগায় কাঁটাযুক্ত একটি লম্বা ও প্রক্ষেপযোগ্য জিহবা।

ভিন্ন স্বভাবের অনেক কাঠঠোকরাও রয়েছে। বাংলাদেশের ২২ প্রজাতির কাঠঠোকরার মধ্যে ২১ প্রজাতি স্থায়ী বাসিন্দা এবং ১ প্রজাতি পরিযায়ী (সারণি)।

এর মধ্যে মাত্র তিনটি প্রজাতির ছবি তোলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার ।

পোকা কাহিনী

আমি প্রকৃতির সন্তান, কিন্তু নজর খুবই ছোট… আমি প্রকৃতির বুকে ঘুরে বেড়াই কিন্তু দৃষ্টি খুবই নিচু…

তুমি যখন আকাশ দেখো,
আমি তখন ঘাঁস লতাগুল্মের অলিতে-গলিতে হাতড়ে বেড়াই..

তুমি যা অবহেলায় মাড়িয়ে যাও,
আমি তা সযত্নে লালন করি…

বিভ্রান্ত হবার কোন কারণ নাই…
আমি পোকামাকড়ের ছবি তুলি 🤓

#পোকাকাহিনী

লেখা ও ফটোগ্রাফি: Munna Mahmud

বেদে(বাদিয়া বা বাইদ্যা)

বেদে(বাদিয়া বা বাইদ্যা) বাংলাদেশর একটি যাযাবর জনগোষ্ঠী। যারা সাধারনত নৌকায় বসবাস করে। তারা নৌকায় করে একেক সময় একেক জায়গায় অস্থায়ী ভাবে অবস্থান করে। এছাড়া বর্তমানে স্থায়ীভাবে আবাস নির্মাণ করেও থাকে।গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাপ ধরা, সাপের খেলা দেখানো, জাদুবিদ্যা প্রদর্শন,মৎস শিকার করাসহ বিভিন্ন রকম কর্মকান্ডের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

বেদে নৌকা

বেদেরা সাধারনত নৌকাকে বসবাস করার ঘর হিসেবে ব্যবহার করে। বেদে সমাজ যাযাবর হওয়ার ফলে তাদের ছেলেমেয়েরা হয় শিক্ষাবঞ্চিত। যার ফলে জীবিকা হিসেবে তারা বেছে নেয় পূর্বপুরুষের পেশাকে।

বেদে মেয়েরা বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরেঘুরে নিজেদের বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে চিকিৎসা করে। তাদের চিকিৎসা গুলোর মধ্যে অন্যতম হল শরীরের বিষ-ব্যাথা সিংগা দিয়ে নামানো, বিভিন্ন রোগের জন্য তাবিজ-কবজ প্রদান করা ইত্যাদি। তবে বেদেরা সবচেয়ে বেশি যেটা করে সেটা হল সাপের বিভিন্ন রকমের খেলা দেখিয়ে টাকা উপার্জন করা।

ঠিক তেমনি বেদেপল্লী দেখার সুযোগ হয় পটুয়াখালীর চরমন্তাজে। এখানকার বেশিরভাগই বেদেরা মাছ শিকার করে জীবিকা করে। উত্তাল তেতুলিয়া নদীতে, সাগরে মাছ শিকার করে। বুলবুল চলাকালীন সময়ে এদের মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয়ভীতি নেই। সবাই উত্তাল নদীতে মাছ শিকারে যায়।

শিক্ষার আলো থেকে অনেক দূরে এই বেদেপল্লীর ছেলেমেয়েরা। চিকিৎসা সেবা থেকেও এরা পিছিয়ে।

বেদে শিশুহাসি খুশি বেদে শিশু

“ভালো থাকুক বেদেপল্লীর মানুষগুলি”

ছবি ও লিখা: রবিউল দেওয়ান

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ!

আমরা বহুবর্ষী, শতবর্ষী নানা গাছ দেখেছি- কিন্তু চিন্তা করুন তো একটি ব্রিজের বয়স কত হতে পারে? আমাদের দেশেই আছে দ্বিতীয় বৃহত্তর রেল ব্রিজঃ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ! বয়সঃ প্রায় ১০৭ বছর! ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় একবার ক্ষতিসাধন হয়েছিলো। এখনো সম্পূর্ণ স্টিলের তৈরী ব্রিজটি বহাল তবিয়তেই আছে। ডিজাইনারঃ এ. এম. রেন্ডেল। কাজ সম্পন্ন হয়ঃ ১৯১২ সালে। রেল চলাচলের শুরুঃ ১৯১৫ সালে।

পদ্মা নদীর উপরে অবস্থিত ব্রিজটির একপাশে ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া রেল স্টেশন অন্যপাশে পাকশী, ঈশ্বরদী রেল স্টেশন।

পাকশী রেল স্টেশন

স্বচক্ষে দেখতে ঘুরে আস্তে পারেন পাকশী থেকে। একসাথে আসেপাশে লালন শাহ সেতু, পাকশী চিনির মিল ইত্যাদি দেখতে পারেন। আর আমার একটি ব্যক্তিগত অবজারভেশন- পাকশীর সাথে ভৈরবের অদ্ভুত মিল রয়েছে। দু’টি রেলসেতুর আগের জায়গাটি প্রায় একই মনে হয়েছে আমার!

ছবিতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এবং পাকশির আশেপাশের কিছু ছবি দেয়ার চেষ্টা করলাম, ২০০৯ সালে তোলা ছবি (©ahemon Photography)।

লেখা : এমদাদুল হক

বিশ্বাস – ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ আমাদের এই প্রাণের বাংলাদেশ

ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ আমাদের এই প্রাণের বাংলাদেশ । সংখ্যাগরিষ্ঠতায় মুসলিম জনগোষ্ঠী প্রায় নব্বই শতাংশ । বাংলাদেশ এমনই এক দেশ যেখানে আপনি খুঁজে পাবেন ধর্মীয় ভাতৃত্বের সুদৃঢ় বন্ধন । মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য আদিবাসী , নৃজনগোষ্ঠীর বসবাস পৃথিবীর বৃহত্তম এই ব-দ্বীপে । সবাই সবার ধর্মীয় অনুভূতি এবং আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ।

এই পোস্টের থিম হচ্ছে ‘ Faith বা বিশ্বাস ! ‘ ফটোগ্রাফার Arifur Rahman পেশায় দন্ত চিকিৎসক ।

অদ্ভুত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফীর মাধ্যেমে ফটোগ্রাফার তুলে ধরেছেন এই ব-দ্বীপের জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় উৎসব , বিশ্বাস এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কে।

আসিফ সৈকত (Asif Soikot)

কপি রাইট: ব-দ্বীপ

error: Content is protected !!