ডিম পাহাড় – মেঘ সবুজ আর উচ্চতার হাতছানি
আলিকদম – থানচি রাস্তা বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু এবং ঝুঁকিপূর্ণ সড়কপথ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা প্রায় ২৬০০ ফিট। আলীকদম থেকে এই রাস্তা উপরের দিকে উঠেছে এবং ডিম পাহাড়ের কাছাকাছি রাস্তার উচ্চতা ছাড়িয়েছে ২৫০০ ফুটের ও বেশি। আলীকদম উপজেলা থেকে ৩০ কিলোমিটারের দুরের থানচি-আলীকদমে ডিম পাহাড়ের পুরোটাই পাহাড়ী পথ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণে সময় লেগেছে ১০ বছর এবং নির্মাণকালীন বিভিন্ন দুর্ঘটনায় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ৩ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন।
দেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় বান্দরবানের থানচি-আলীকদমের ডিম পাহাড়। প্রকৃতির অনাবিল সৌর্ন্দয্য আর বৈচিত্র্যময়তায় পূর্ণ বান্দরবানের থানচি-আলীকদম ডিম পাহাড়। পাহাড়, আকাশ, মেঘ এবং আকাশ মিশেমিশে এখানে একাকার! ডিমপাহাড় (Dim Pahar) এর অবস্থান আলীকদম এবং থানচি থানার ঠিক মাঝখানে। এই পাহাড় দিয়েই দুই থানার সীমানা নির্ধারিত হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আলীকদম থেকে থানচি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
ডিমপাহাড় কিভাবে যাবেন ?
প্রথম রুট –
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থেকে জিপে( চাঁন্দের গাড়ি) করে চলে যাবেন আলীকদম উপজেলায়। এখানে আলীর গুহা, রূপমুহুরী ঝর্ণা দেখে রওনা দিতে পারবেন বাংলাদেশের ২য় উচ্চতম সড়ক পথ দিয়ে ডিমপাহাড় এর উদ্দেশ্যে। ডিম পাহাড় ঘুরে সরাসরি চলে যান থানচি বাজার। এখানে খাওয়া দাওয়া সেরে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন অথবা থানচি বিজিবির রিসোর্টে অবস্থান করতে পারেন।
দ্বিতীয় রুট হলো –
ঢাকা > বান্দরবান > থানচি
বান্দরবান থেকে যেতে চাইলে আগে লোকাল বাসে কিংবা চান্দের গাড়িতে করে প্রথমে থানচি বাজার , সেখান এখান থেকে চান্দের গাড়ি কিংবা মোটরবাইকে করে ডিম পাহাড়।
ফটোক্রেডিট : নুসরাত নীরা
ধন্যবাদ।