এটা ইউরোপ/আমেরিকার কোন সমুদ্রের পানির ছবি নয়। আমাদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৮/৯ নটিক্যাল মাইল ভিতরের সমুদ্রের পানি ঠিক এরকমই সুন্দর। কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রাম আসার পথেই ছবিটি নিয়েছি। ছবিতে পানির মধ্যে বিভক্তকারী একটা রেখা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
দুই সাগরের মাঝখানে একটি অদৃশ্য দেয়াল বা আড়াল ইউরোপ এবং উত্তর আমারিকার কিছু সমুদ্রে দেখা যায়। সাধারনত উষ্ণ এবং শিতল পানির মিলনস্থলে এই ধরনের সুস্পষ্ট বিভক্তকারী রেখা তৈরি হয়। এছাড়াও যে তিনটি মৌল নিয়ম অনুসরনের ফলে পানির মধ্যে এমন রেখা দেখা যায় তা হল-
১) ঘনত্ব
২) লবণাক্ততা
৩) উচ্চতা
অর্থাৎ কম ঘনত্বের পানি বেশি ঘনত্বের পানির সাথে,লবণাক্ত পানি মিঠা পানির সাথে,কম গভীরতার পানি বেশি গভীরতার পানির সাথে মিশতে চায় না। এমনটি সাধারণত সমুদ্রের পানির নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে চাওয়ার ধর্মের কারনেই হয়ে থাকে। অর্থাৎ পানি তার স্ব গুনাগুন বজায় রাখতে চায়। যে কারনে এক ধর্মের পানি অন্য ধর্মের পানির সাথে মিশতে চায় না। একই সমুদ্রের পানিতে বিভক্তকারী রেখার সৃষ্টি হয় মূলত এ কারনেই।
লেখা ও ছবি : Wahid Zaman