বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোধ, বৃষ্টির, ঝড়ে।”
ফেইসবুক, ইউটিউবের দাপটে সোনায় মোড়ানো সেসব কবিতায় এখন আর বাচ্চাদের শৈশব রঙ্গিন হয় না। অথচ একসময় চড়ুইয়ের প্রাচুর্য্য ও মানব-সহচার্যের কারণে বিভিন্ন লেখালেখি ও অন্যান্য মাধ্যমে এর উপস্থিতি ছিল প্রকট।
প্রতিকূল পরিবেশে খাপখাইয়ে নেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা থাকলেও সাধারণত জনহীন বনভূমি, তৃণভূমি ও মরুভূমিতে এরা বসবাস করে না। শহরে বা গ্রামে, মানববসতির কাছাকাছি যেকোন পরিবেশে এরা নিজেদের স্বচ্ছন্দে মানিয়ে নিতে পারে।
সভ্যতার এগিয়ে যাওয়ার গল্পে শহুরে ইটকাঠ আর যানজটে হয়ত আপনার চোখে মরিচা পড়ে গেছে। প্রতিনিয়ত যান্ত্রিকতার অনুনাদে টিম্পেনিক মেমব্রেনটাও হয়ত বিরক্ত। ভাবতে পারেন ঠিক তখনি মিষ্টি মধুর এক স্বর্গীয় আওয়াজ আপনার কানকে প্রশান্তি দিচ্ছে। শহুরে যন্ত্রিকতায় ক্ষনিকের জন্য হলেও প্রকতির সহচার্য পাচ্ছেন আপনি। ভাবতে পারেন প্রিয় বাংলাদেশে এতটাই সৌভাগ্যবান আপনি।
তবে আর বেশীদিন থাকবেন না, বিলুপ্তির পথে আপনার প্রিয় চড়ুই, হারিয়ে যাচ্ছে ওরা। চড়ুই হারিয়ে গেলে, হারিয়ে যাবে সোনায় বাধাঁনো সেইসব কবিতা, হারিয়ে যাবে আপনার সেই একমুঠো প্রশান্তিটুকুও।
ওদেরকে বাচঁতে দিন, পত্রিকার পাতায় চড়ুই নিধনের খবর পেলে একসাথে রুখতে হবে। তবেই না বাংলাদেশ। নদ-নদী, পাহাড়, সমুদ্রের যে ক্যানভাসকে ভালোবেসে আপনি বাংলাদেশ নামে ডাকেন। সেটাও সৌন্দর্য্য হারাবে যদি পাখি না বাঁচে। ওরা সুখে থাক আমাদের সোনার বাংলাদেশে 📷