শুভলং ঝর্ণা ও শুভলং টি এন্ড টি পাহাড়, কাপ্তাই লেক, রাঙামাটি
ভ্রমণ পিয়াসুদের জন্য প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি হচ্ছে রাঙামাটির শুভলং ঝর্ণা ও শুভলং টি এন্ড টি পাহাড়।
সুউচ্চ পাহাড় থেকে পড়া ঝর্ণার পানি আপনাকে বিমোহিত করবেই। ঝর্ণার হিমশীতল পানি আপনার ক্লান্তিকে নিমিষেই দূর করে দিবে।
শুভলং ঝর্ণার পাশেই আছে শুভলং টি এন্ড টি পাহাড়। এডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ হলে উঠে যেতে পারেন পাহাড়ে। তবে এর জন্য প্রয়োজন পাহাড় জয় করার ইচ্ছা শক্তি আর শারীরিক দক্ষতা।
অধিকাংশ মানুষই অর্ধেক যাওয়ার পর ফিরে আসে। তাই এক্ষেত্রে আপনাকে কৌশলতা অবলম্বন করতে হবে। কিছুদূর যাওয়ার পর বিশ্রাম নিয়ে নিন তারপর আবার ট্রাকিং শুরু করুন।
ভাগ্য সহায় হলে দেখা পেয়ে যাবেন বানর আর হরিণের। উপরে একটি পুলিশ ক্যাম্প আছে। ক্যাম্পেতে বসে রেস্ট নিতে পারেন। আমি শিউর উপরে উঠার পর আপনার সমস্ত পরিশ্রম স্বার্থক হয়ে যাবে নিচের দিকে তাকালে।
মনে হবে রাঙামাটি জেলাটি কাপ্তাই লেকের পানির মধ্যে ভেসে আছে। আর ছোট ছোট দ্বীপ স্বরূপ পাহাড়কে মনে হবে কচুঁরিপানার মত পানিতে ভেসে আছে। এই পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য সারা জীবন মনে রাখার মত।
শুভলং ঝর্ণা আর শুভলং টি এন্ড টি ভ্রমণ করার আরেকটি ভাল দিক হলো যাওয়ার পথের সৌন্দর্য। লেকের ছোট ছোট পাহাড়ের সৌন্দর্য আপনার মনকে ছুঁয়ে যেতে বাধ্য।
দুইপাহাড়ের মাঝদিয়ে বয়ে যাওয়া লেককে দেখে আমার মনে হয়েছিল আমি বোধহয় পথ হারিয়ে থাইল্যান্ড চলে এসেছি। আবার বার বার এর সুবিশাল জলরাশি দেখে টাংগুয়ার হাওরের কথা মনে হচ্ছিল।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে রাঙামাটি। রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারে নৌকা পাবেন। সারাদিনের জন্য ভাড়া করুন ১৩০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। ১০-১৫ জন যেতে পারবেন নৌকাতে। যেতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগবে। লেকের ভিতর আরো ৭-৮ টা টুরিস্ট স্পট আছে। সবগুলো ঘুরে দেখতে পারেন।
যারা সাতার জানেন না তারা অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট ইউজ করবেন। আর লেকের ভিতর ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।
লিখা: জাহিদ হাসান