সময়ে গাছের নীচে দাঁড়াতে পারাও মনে হয় সৌভাগ্যের ব্যাপার। ছবির এই সৌভাগ্যের মুহুর্তটি গত জুন মাসের ১৮ তারিখের দুপুর দুই ঘটিকা।
এটা ‘খ্যামচং পাড়া’ থেকে ‘রুংরাং’ পাহাড় আর ‘ম্যানিয়াং পাড়া’ যাবার পথে। নামের শেষে ‘পাড়া’ থাকলেও ভিন্ন ভিন্ন দুটি পল্লী। পাহাড় ডিঙ্গানো বিস্তর দূরে দূরে ‘নিকটতম’ দুই ম্রো পল্লী।
ম্রো বা মুরুং হচ্ছে বান্দরবানের বিশিষ্ঠ পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। ঝুঁকিপূর্ণ চরম কষ্টকর এমন যাত্রাপথে অমূল্য কিছু মুহুর্তের একটি হচ্ছে এই বৃক্ষ মহারাজের সাক্ষাৎ লাভ।
ক্রিসতাং এর বনের বিশাল সব মহীরুহের বেশীর ভাগই নাকি মাদার গাছ। মাদার গাছই হোক আর যে গাছ, এমন এক মহীরুহের নীচে দাঁড়িয়ে শ্বাস নিতে পারাও এক মহা পূন্যের কাজ।
এমন গাছের সান্নিধ্য যেখানে মিলে, এর চাইতে বড় আর কি তীর্থ হতে পারে। বনখেকোদের দৌরাত্মে পুরো বন যেখানে প্রায় বড় বৃক্ষশূণ্য, সেখানে এই অতিকায় বৃক্ষ স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে কি কষ্ট বুকে নিয়ে – কে জানে!
লেখা : Tapan Roy
ছবি : Tapan Roy, Asif Soikot