কালচিতি / কালাচিতি / কালাচ / common krait :
একে বলা হয় রহস্যময় সাপ। ফনাহীন মারাত্মক বিষধর এই সাপে বাংলাদেশে এবং পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। common krait মারাত্মক নিউরোটক্সিন সমৃদ্ধ।
আলোচনা করছি এই কারণে যে বর্ষাকালে এই সাপের আক্রমণ তুলনামূলক বেড়ে যায়। মৃত্যুর কারণ – নিউরোটক্সিন।
কালাচ বা কালচিতি / কালাচিতি common krait এর কামড় আপনি নাও টের পেতে পারেন! মারাত্মক সূক্ষ্ম মিহি সরু দাঁত দিয়ে দংশন করে। কালাচ সাপ সাধারণত ঘুমন্ত মানুষকে বেশি দংশন করে। রাতে কালাচের আক্রমণ বেশি হয়।
বর্ষাকালে বিছানার পাশে, ফ্লোরে কিংবা বিছানার উপর কালাচ আশ্রয় নেয়। অনেক সময়ই আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করেন কোনো ছোটো পোকা হয়তো তাকে কামড়েছে।
কালাচ বা common krait চিনবার উপায় হচ্ছে – ফনাহীন, তুলনামূলক ছোটো মাথা, শরীরের শুরু থেকে লেজের শেষ পর্যন্ত গোলাকৃতি চুড়ির মতো প্যাঁচ থাকে কালাচ বা common krait এর।
কালাচ / কালচিতি বা common krait কামড়ের লক্ষণ:
পেটে ব্যাথা (abdominal pain), ঝিমঝিমানি (headache and drowsiness), কথা জড়িয়ে আসা বা কথা বলতে সমস্যা হয় (dysarthria) আক্রান্ত ব্যক্তির। নিউরোটক্সিনের কারণে পরবর্তী ধাপে বুকে ব্যাথা (chest pain), শ্বাস নিতে সমস্যা (Respiratory paralysis) হয়। অনেক ক্ষেত্রেই প্রচন্ড পেটে ব্যাথা নিয়ে রোগী চিকিৎসকের কাছে আসে।
সাধারণত নিউরোটক্সিন শরীরে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক বিষক্রিয়া করতে ৪-৮ ঘন্টা সময় নেয়।
মৃত্যুর কারণ respiratory paralysis, brainstem dysfunction – due to neurotoxic effect.
চিকিৎসকগণ অনেক ক্ষেত্রেই কনফিউশানে পড়ে যান – কারণ কোনো bite mark বা fang marks identity করা যায়না। তবে ক্লাসিকাল নিউরোলজীক্যাল সিম্পটম দেখে কালাচের কামড় ধারণা করা যায়।
রোগীকে যখন বলবেন – চোখ তুলতে উপরের দিকে রোগী চোখ উপরে তুলে তাকাতে পারেনা (unable to perform upward eye gaze)। চোখের পাতা পড়ে যায় / ptosis হয়। এই ক্লিনিক্যাল সাইন নিউরোটক্সিনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ন। সাথে পেট ফুলে যাওয়া (abdominal distention) এবং উপরে বর্ণিত ক্লিনিক্যাল ফিচার নিয়ে রোগী আসতে পারে।
Common krait বা কালাচিতি সাপের দংশনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সময়মতো Anti venom দিতে পারলে খুব ভালো রেসপন্স করে। Neurological symptom ইনপ্রুভ করে আসে।
বর্ষাকাল চলছে, কালাচ সাপ বা common krait এর আক্রমণ থেকে সাবধান হউন।