বনভান্তের স্মৃতিস্তম্ভ কাপ্তাই
কাপ্তাই হ্রদ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাঙামাটি জেলার একটি কৃত্রিম হ্রদ। জলবিদুৎ প্রকল্পের উদ্দেশ্যে তথকালিন পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে আমেরিকার অর্থায়নে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। ১৯৬২ সালে এর নির্মাণ শেষ হয়।
পানি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কৃত্রিমভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে স্থায়ী আধিবাসীরা তাদের বাড়ী-ঘর এবং চাষাবাদযোগ্য জমি হারিয়েছেন। চল্লিশ হাজারেরও অধিক চাকমা আদিবাসী সম্প্রদায় প্রতিবেশী দেশ ভারতে স্থানান্তরিত হয়েছেন। জমি অধিগ্রহণের ফলে ঐ এলাকায় সৃষ্ট সংঘর্ষের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।এছাড়াও, এ বাঁধ নির্মাণজনিত কারণে জীববৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে। বন্যপ্রাণী এবং তাদের বসবাস উপযোগী আবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এর সাথে অনেক স্থানীয় ইতিহাসও জড়িয়ে রয়েছে | এর মধ্যে বর্তমানে পানির নীচে থাকা চাকমা রাকপ্রাসাদ ও বনভান্তের জন্ম, সাধনা, ধমীয় গুরু হয়ের উঠার পেছনের অনেক ইতিহাসও জড়িত | বলা হয়ে থাকে এই স্থানে উনি সাধনা করেছিলেন |
বনভান্ত ছিলেন বৌদ্ধদের একজন ধর্মগুরু। উনার জন্মস্থান মোরঘোনা নামক গ্রামটি বর্তমানে কাপ্তাই বাঁধের ফলে প্রায় ৫০ ফুট পানির নীচে অবস্থান করছে । এলাকাবাসী সহযোগিতায় বনভান্তের জম্মস্থান সনাক্ত করে কিছুদিন আগে এই চূড়াটি নতুন ভাবে বানানো হয়। ধর্মীয় দিক থেকে এটী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র স্থান |
এটিতে মূলত কাপ্তাই বেরাইন্নে লেকশোর ক্যাফে থেকে কায়াক/ইঞ্জিল চালিত বোট নিয়ে বাম দিকে গেলে পাবেন। কায়াক করে যেতে আপনার সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিট আর বোট করে গেলে ১০ মিনিট মত।
লেকটা খুবই সুন্দর। বর্তমানে আমাদের দেশের অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে বিবেচিত | কিন্তু এর পেছনের গল্পটা হয়ত অনেকেই জানেন না| এটাই তুলে ধরার চেষ্টা করলাম ছোট পরিসরে |
লিখা ও ছবি: রাজীব দাশ