বগালেক ভূমি থেকে ২২০০/২৪০০ ফুট উচুঁতে হাজার কিংবা লক্ষ বছর আগে তৈরী হওয়া প্রাকৃতিক লেক।
ভূমি থেকে এত উঁচুতে লেক তৈরী হওয়াটা খুবই অবাক করা বিষয়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, লক্ষ বছর আগে মৃত আগ্নেওগিড়ির জ্বালা মুখ থেকে এই লেকের উৎপত্তি।
কিন্তু স্থানীয় আদিবাসীরা লেক এর তৈরী নিয়ে বলে ভিন্ন কথা। এই লেকের পাড়ে থাকতো এক ড্রাগন । ড্রাগন এলাকার গৃহপালিত পশু প্রায়ই খেয়ে ফেলতো। তাই একদিন এক পাহাড়ী কৌশলে ছাগলের মুখে টোপ দিয়ে রেখে আসে ড্রাগনের গুহার সামনে। ছাগল খেয়ে ফেলার সময় ড্রাগন আটকে যায় টোপে। আর ড্রাগনের মাথা সহ একটি অংশ টেনে বের করে আনা হয় আর এক কোপে কেটে ফেলা হয়। কিন্তু অন্য অংশটি মূহূর্তে গর্তে হারিয়ে যায়। বলা হয় যে অন্য অংশটি বের হয়ে যায় রাইখ্যাং লেক দিয়ে (যা আমাদের ট্যুরের পরবর্তী গন্তব্য)। এ জন্য বগা লেকের সাথে রাইখ্যাং লেকের মাটির হাজার ফুট নিচ দিয়ে একটি সংযোগ পথ আছে। (এ কারণেই কথাটি বলা যে, বছরের এপ্রিল মাসে বগালেক এবং ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে রাইখ্যাং লেক এর পানি একই সাথে ঘোলাটে/ লাল হয়ে যায়। কেন লাল হয় এ সম্পর্কে কারো কোন তথ্য জানা নেই)। তো পরবর্তীতে ড্রাগন দেবতা রাতে এলাকার সকলকে স্বপ্ন দেখালো এবং পরদিন পাহাড় ধ্বসে দিয়ে পুরো এলাকা মাটির নিচে ডাবিয়ে দিলো। যেখানে পরবর্তীতে সৃষ্টি এই বগালেকের।
বগালেকের গভীরতা কতটুকু এ সম্পর্কে কারো কোন স্পষ্ট ধারণা নেই। কেউ বলে ১০০০ ফুট, কেউ বলে ১৫০০-২০০০ ফুটও হতে পারে। বগালেকের গভীরে ১০০-২০০ বছরের পুরোনো মাছ আছে যারা কখনই পানির উপর আসে না। Army রা একবার বরর্শী দিয়ে এবং পরে গুলি করে একটি মাছ শিকার করে যার ওজন ছিলো ৩০-৩৫ কেজি।
ছবি ও লিখাঃ আরিক আশিক