বিহঙ্গ দ্বীপ বা মাঝের চর বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষা এক ছোট্ট অসাধারণ দ্বীপ। স্হান : বরগুণা জেলা, পাথরঘাটা থানা । আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চারাস এবং প্রকৃতি প্রেমী হন , তাহলে – ঘুরে আসুন বিহঙ্গ দ্বীপে ।
এ বছরের জানুয়ারীতে আমরা গিয়েছিলাম বিহঙ্গ দ্বীপ বা মাঝের চরে । শীত তখন জেঁকে বসেছে । সুন্দরবনের একদম পাশে এই বিহঙ্গ দ্বীপ , পক্ষীর চর। প্রকৃতি যেনো তার অপার সৌন্দর্য্য নিয়ে আপনার জন্যই অপেক্ষা করছে । উপকূলীয় সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি – আপনি বরগুণার সুন্দরবন অংশও ঘুরে আসতে পারবেন ।
ঢাকা থেকে ৫.৩০ এবং ৬.০০ তে বরগুনা জেলার উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছাড়ে । শাহরুখ -২ , পূবালী ১ , যুবরাজ ২- ৪ , সপ্তবর্ণা ৯ ! ডেকের ভাড়া ৩৫০ টাকা , সিঙ্গেল কেবিন ১২০০ টাকা , ডাবল কেবিন ২৪০০ টাকা , ফ্যামিলি কেবিন ২৫০০ টাকা । সকালে আপনি পৌঁছে যাবেন কাকচিড়া ঘাটে । সেখান থেকে অটোতে নেমে পাথর ঘাটা বাজার , তারপর বাইকে চড়ে রুহিতা গ্রাম ।
রুহিতা গ্রাম বলেশ্বর নদীর মোহনায় অবস্হিত । অসাধারণ সুন্দর এক গ্রাম , এখানে আপনি দেখতে পাবেন জেলেজীবন , খেলতে পারবেন রুহিতা গ্রামের শিশুদের সাথে ।
মেঠো পথে চাইলেই হারিয়ে যেতে পারবেন একদম নিজের মতো করে । কৃত্রিমতা নেই , একদম উপকূলীয় মাটির ঘ্রাণ ।
বলেশ্বর নদীর তীর ঘেঁষেই দেখতে পাবেন ম্যানগ্রোভ বন । চাইলে এখানেও বেজক্যাম্প করতে পারেন।
রুহিতা গ্রামের পাশেই বয়ে চলেছে বলেশ্বর নদী । নৌকা বা বোটে করে – বিহঙ্গ দ্বীপ যেতে হবে । নাম শুনলেই বোঝা যায় নানা প্রজাতির পাখির জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপ ।
স্হানীয় কোস্ট গার্ডের অনুমতি নিতে হবে এই দ্বীপে বেজক্যাম্প করতে চাইলে , একটু জলদস্যু প্রবণ এলাকা – দলবদ্ধ ভাবে যাওয়াটাই শ্রেয় ।
বিহঙ্গ দ্বীপ থেকে আপনি বোটে চড়ে যেতে পারেন একেবারে সুন্দরবনের অংশ পক্ষীর চরে । শীতকালে দেখা মিলবে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির ।
জেলে জীবন , উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বন , বরগুনার সুন্দরবন অংশ (গোল পাতার বন, দেখা পাবেন হরিণ ও বানরের) –
বিষখালী এবং বলেশ্বর নদীর মোহনা আপনাকে যারপরনাই বিমোহিত করবে ।
ফেরার লঞ্চ ছাড়ে কাকচিড়া ঘাট থেকে বিকাল ৪ টা ও ৪.৩০ মিনিটে ।
ঘুরে আসুন – বিহঙ্গ দ্বীপ , পক্ষীর চর থেকে । উপভোগ করুন বাংলাদেশের সৌন্দর্য্য ।
[দ্রষ্টব্য: পরিবেশ কে পরিচ্ছন্ন রাখুন]
– Asif Soikot