বেদে(বাদিয়া বা বাইদ্যা) বাংলাদেশর একটি যাযাবর জনগোষ্ঠী। যারা সাধারনত নৌকায় বসবাস করে। তারা নৌকায় করে একেক সময় একেক জায়গায় অস্থায়ী ভাবে অবস্থান করে। এছাড়া বর্তমানে স্থায়ীভাবে আবাস নির্মাণ করেও থাকে।গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাপ ধরা, সাপের খেলা দেখানো, জাদুবিদ্যা প্রদর্শন,মৎস শিকার করাসহ বিভিন্ন রকম কর্মকান্ডের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
বেদেরা সাধারনত নৌকাকে বসবাস করার ঘর হিসেবে ব্যবহার করে। বেদে সমাজ যাযাবর হওয়ার ফলে তাদের ছেলেমেয়েরা হয় শিক্ষাবঞ্চিত। যার ফলে জীবিকা হিসেবে তারা বেছে নেয় পূর্বপুরুষের পেশাকে।
বেদে মেয়েরা বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরেঘুরে নিজেদের বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে চিকিৎসা করে। তাদের চিকিৎসা গুলোর মধ্যে অন্যতম হল শরীরের বিষ-ব্যাথা সিংগা দিয়ে নামানো, বিভিন্ন রোগের জন্য তাবিজ-কবজ প্রদান করা ইত্যাদি। তবে বেদেরা সবচেয়ে বেশি যেটা করে সেটা হল সাপের বিভিন্ন রকমের খেলা দেখিয়ে টাকা উপার্জন করা।
ঠিক তেমনি বেদেপল্লী দেখার সুযোগ হয় পটুয়াখালীর চরমন্তাজে। এখানকার বেশিরভাগই বেদেরা মাছ শিকার করে জীবিকা করে। উত্তাল তেতুলিয়া নদীতে, সাগরে মাছ শিকার করে। বুলবুল চলাকালীন সময়ে এদের মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয়ভীতি নেই। সবাই উত্তাল নদীতে মাছ শিকারে যায়।
শিক্ষার আলো থেকে অনেক দূরে এই বেদেপল্লীর ছেলেমেয়েরা। চিকিৎসা সেবা থেকেও এরা পিছিয়ে।
“ভালো থাকুক বেদেপল্লীর মানুষগুলি”
ছবি ও লিখা: রবিউল দেওয়ান